‘পুত্রসুখ হয়নি, পুত্রশোক হল’, সৃঞ্জয়ের মৃত্যুর পর বললেন দিলীপ ঘোষ

জাতীয়

ভিড়ে ঠাসা হাসপাতালে সন্ধ্যার পর এলেন দিলীপ ঘোষ। স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের পুত্র সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের রহস্যমুত্যুর পর হাসপাতালে হাজির হলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। চোখে-মুখে শোকের আবহ নিয়ে তিনি রিঙ্কুর পাশে দাঁড়িয়েই বললেন, এই শোক সত্যিই সহ্য করার মতো নয়। সে কথাই তিনি মনে করিয়ে দিলেন। এদিন দুপুরেই সৃঞ্জয়ের দেহ উদ্ধার হয় নিউটাউনের আবাসন থেকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তারপর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় আরজিকর হাসপাতালে। সেখানেই বেলা পড়তে আসেন দিলীপ ঘোষ।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকদিন আগে থেকেই আমার পরিচয় ছিল সৃঞ্জয়ের সঙ্গে। বিয়ের আগে থেকেই কথাবার্তা হতো। আমি ওকে খেলা দেখাতেও নিয়ে গিয়েছিলাম। এমন পরিস্থিতি হবে, তা বুঝতে পারিনি। আমার আর পুত্রসুখ তো হল না, পুত্রশোক হল।’ এরপর আর খুব বেশি কথা বলতে চাননি দিলীপ ঘোষ। তিনি সোজা স্ত্রী রিঙ্কুর সঙ্গে গাড়িতে উঠে পড়েন। পাশে দাঁড়িয়ে সমানে তখন কেঁদে চলেছেন রিঙ্কু। যতক্ষণ হাসপাতালে ছিলেন, ততক্ষণ বারংবার রিঙ্কুকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে।

আজকাল ডট ইন-এর মুখোমুখি হয়ে সদ্য পুত্রহারা বিজেপি নেত্রী রিঙ্কু মজুমদার বলেন, ‘আমি তো মা। ছেলের মনখারাপ টের পেতাম। আমি চলে আসার পর থেকে ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করত না। রাঁধুনি এসে ফিরে যেত। গত তিনদিন ধরে ওর মনমেজাজ ঠিক ছিল না। গতকাল রাতেও ফোনে কথা হয়। আজ সকালে ওর এক সহকর্মী ফোন করে খবর দেন। গতকাল রাতে ফ্ল্যাটে দু’জন সহকর্মী এসেছিল। ওরাই শেষপর্যন্ত ছিল।’

রিঙ্কু আরও জানিয়েছেন, ‘আমার সঙ্গেই থাকতে চেয়েছিল। আমিও বলেছিলাম ওকে নিয়ে আসব খুব শিগগিরই। আমাদের এখানে রুমের সমস্যা ছিল। কিন্তু তাও ওকে নিয়ে আসতাম আমার কাছে। ও আনন্দেই ছিল, আবার আমরা একসঙ্গে থাকব এটা ভেবে। দিন কয়েক ধরেই মনখারাপ টের পেয়েছি। কীভাবে কী হল, বুঝতে পারছি না।’

অন্যদিকে সৃঞ্জয়ের বাবা রাজা দাশগুপ্ত আজকাল ডট ইন-কে বলেন, ‘গত ১৭ বছর মা-ছেলে একসঙ্গে থাকত। মায়ের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও, একাকিত্বে ভুগত ছেলে। মা-বাবা কেউ তো কাছে ছিল না। ওর শরীর খারাপ ছিল কয়েকদিন ধরেই। দিন কয়েক আগেই ফোন করে বলেছিল, হালিশহরে আমার কাছে এসে কয়েকদিন থাকবে। ২৭ বছরের প্রাণবন্ত ছেলেটা কীভাবে হঠাৎ চলে গেল, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *