বিখ্যাত মানুষ এই প্রেমানন্দ মহারাজ (Premanand Maharaj)। সারা পৃথিবী থেকে মানুষ যোগাযোগ করেন তাঁর সঙ্গে। শ্রীশ্রীহিত প্রেমানন্দ গোবিন্দ শরণ জী মহারাজ (Premanand Govind Sharan) তাঁর প্রকৃত নাম, তবে তিনি প্রেমানন্দ মহারাজ নামেই বেশি পরিচিত। ভারতীয় হিন্দু আধ্যাত্মিক গুরু তিনি। সাধক এবং দার্শনিকও। প্রেমানন্দ মহারাজ বৈষ্ণব মতানুসারী রাধাবল্লভ সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। বৈষ্ণব মতে রাধাকৃষ্ণের উপাসক তিনি।
তাঁর আশ্রম উত্তর প্রদেশের বৃন্দাবনে শ্রীহিত রাধাকেলিকুঞ্জে অবস্থিত। প্রচারের প্রতি অনীহা এবং তারকা ভক্তদের থেকে সাধারণ ভক্তদের প্রতি আলাদা আচরণ করতে অস্বীকার করায় তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তাঁর সৎসঙ্গ এবং ব্যক্তিগত কথোপকথনগুলি তাঁর সরলতা এবং অধ্যাত্ম্যবোধের সূক্ষ্মতার বিশেষ পরিচায়ক।
আর এরই মধ্যে কলিযুগ নিয়ে সামনে আসছে তাঁর হাড়হিম সব প্রেডিকশন। মহারাজকে একজন প্রশ্ন করেন, এই কলিযুগের কী হবে? এই সময়করা মানুষজনের বিষয়ে আপনার মত কী? এতে মহারাজ যা বলেন, তা প্রায় হাড়হিম করে দেওয়া। প্রেমানন্দজি বলেন, তাঁকে শ্রী শুকদেবজি জানিয়েছেন, এই কলিযুগে ধনরত্নই সব কিছুর উপর ছড়ি ঘোরাবে। যাঁদের টাকাপয়সা থাকবে, তাঁরাই মহান দয়ালু ও গুণী মানুষ হিসেবে সম্মানিত হবেন। কার কত ক্ষমতা, কার কী আছে– এই সব দিয়েই মানুষকে বিচার করা হবে।
বিয়ের প্রসঙ্গে তিনি খুবই হতাশাব্যঞ্জক কথাবার্তা বলেন। তিনি জানান, আগে কোষ্ঠী-ঠিকুজি মিলিয়ে বিয়ের কথা হত। কিন্তু এখন এসব হয় না। এখন আর পারিবারিক সংস্কৃতি বা মূল্যবোধগুলির তেমন মূল্য নেই। পুরুষ ও নারীর পরস্পরের প্রতি অগভীর আকর্ষণই বিয়ের পিছনে একমাত্র কারণ। এটা আগামী দিনে বিরাট সামাজিক সমস্যা ডেকে আনবে।
সামগ্রিক ভাবেই সময়টা খুব নিম্নগামী বলে উল্লেখ করেন প্রেমানন্দ মহারাজ। বলেন, এক ব্যাপক আকারের নৈতিক অধঃপতনে ছেয়ে গিয়েছে চারদিক। আরও যাবে। অসততা, বঞ্চনা এসবই বিরাজ করবে। যে যত বেশি ধূর্ত হবে সে তত বেশি সম্মান পাবে! সত্য ও সম্প্রীতির দিন শেষ।