পুলিশমহলে তিনি ‘লেডি সিংহম’! শিশুধর্ষণে অভিযুক্তকে গুলি করা সাব-ইনস্পেক্টর সাকিনা দুই কন্যার মা

News

খবর পেয়েছিলেন লখনউয়ের মদেয়গঞ্জ এলাকায় শিশুধর্ষণে অভিযুক্ত লুকিয়ে রয়েছেন। আর দেরি করেননি। দল নিয়ে অভিযুক্তকে ধরতে বেরিয়ে পড়েছিলেন। অভিযুক্তকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরা হয়। বেকায়দায় পড়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকেন। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। শিশুধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে ‘এনকাউন্টার’ করে ধরার পর থেকে সাব-ইনস্পেক্টর সাকিনা খান আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন। অনেকেই তাঁর এই কাজের প্রশংসা করছেন।

‘ওয়ান ইন্ডিয়া’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিনা এই অভিযানের বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশকে দেখেই গুলি চালাচ্ছিলেন অভিযুক্ত। আমরাও গুলি চালাই। যে ভাবেই হোক পালানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘সামনে থেকে গুলি চালাচ্ছিলেন। কিন্তু আমি ভয় পাইনি। কারণ, আমিও দু’সন্তানের মা। আর যে ভাবেই হোক অভিযুক্তকে ধরতে এটাই আমাকে আরও প্রেরণা জুগিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতেই অভিযুক্তের পায়ে পাল্টা গুলি চালাই।’’

লখনউয়ের পুলিশমহলে সাকিনা ‘লেডি সিংহম’ নামে পরিচিত। তিনি বলরামপুর জেলার উতরৌলার বাসিন্দা। সাক্ষাৎকারে সাকিনা জানান, তিনি একা নন, তাঁর বাবা, শ্বশুর এবং ভাসুরও উত্তরপ্রদেশ পুলিশে কর্মরত ছিলেন। ৩৯ বছরের সাকিনা ২০১৯ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি লখনউয়ের মদেয়গঞ্জ থানায় কর্মরত। ২০১১ সালে এক দুর্ঘটনায় স্বামী বাবর আখতার খানের মৃত্যু হয়। তিনিও পুলিশে কর্মরত ছিলেন। বাড়িতে রয়েছেন দুই কন্যাসন্তান। তাঁরা দু’জনেই কলেজে পড়েন।

পুলিশ সূত্রে খবর, মদেয়গঞ্জের শিশুধর্ষণের ঘটনার তদন্তকারী অফিসার সাকিনা। নির্যাতিতার কাউন্সেলিংও করাচ্ছেন তিনি। সহকর্মীদের কাছে তিনি অত্যন্ত সাহসী এবং নির্ভীক হিসাবেই পরিচিত। গত ২৮ মে মদেয়গঞ্জে এক শিশুকে ধর্ষণে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার অভিযুক্তকে ‘এনকাউন্টার’ করে ধরার পর থেকে সাকিনাকে নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *