বালোচিস্তানের প্রথম মহিলা যুগ্ম কমিশনার পদে এই হিন্দু তরুণী, চিনে নিন কাশিশ চৌধুরীকে

News

বালোচিস্তানে ইতিহাস গড়লেন কাশিশ চৌধুরী(২৫)। বালোচিস্তানের প্রথম হিন্দু মহিলা অ্যাসিসট্যান্ট পুলিস কমিশনার হিসেবে নিয়োগপত্র পেলেন কাশিশ। বালোচিস্তানের প্রত্যন্ত চাগাই জেলার নোশকির বাসিন্দা এই তরুণী এবার বালোচিস্তান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় পাস করে ওই পদে নিয়োগ পেয়েছেন। একদিকে যেখানে পাকিস্তানের সংখ্য়ালঘু হিন্দুদের উপরে দিনের পর দিন অত্যাচার চলছে সেখানে কাশিশের এই সাফল্যতে আশার আলো দেখছেন পাক হিন্দুরা।

গত সোমবার কাশিশ তাঁর বাবা গিরিধারিলালকে নিয়ে বালোচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতির সঙ্গে দেখা করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে গিরিধারিলাল বলেন, কাশিশ বালোচিস্তানের মহিলা ও সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে কাজ করে যাবে। এর পাশাপাশি সংবাদমাধ্য়মে গিরিধারিলাল আরও বলেন, কঠিন পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে কাশিশ বালোচিন্তানের এক যুগ্ম পলিস কমিশনারের পদে নিয়োগ পেয়েছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের। গোটা দেশ ও বালোচিস্তানের জন্য সম্পদ কাশিশ।

পুরুষতান্ত্রিক পাকিস্তানের বর্তমানে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ভালো কিছু করছে পাক হিন্দু মহিলারা। সামাজিক বাধানিষেধ, ধর্মীয় বেড়া টপকে পাক মহিলারা সম্প্রতি খুবই নজরে আসছেন।

২০২২ সালের জুলাইয়ে মানেশ রুপেটা নামে এক হিন্দু তরুণী করাচির এসপি হিসেবে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি সেই দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে সামাল দিচ্ছেন। কারাচির এক মহিলা সাব ইনসপেক্টর পুস্পা কুমারি কোহলি সংবাদমাধ্য়মে বলেন, পাকিস্তানের হিন্দুদের মধ্যে সম্প্রতি একটা প্রবনতা দেখা যাচ্ছে সরকারি চারকিতে যোগ দেওয়ার। তাতে তারা সাফল্যও পাচ্ছেন।

কোহলি বলেন, সিন্ধ পুলিস কমিশনের পরীক্ষায় পাস করেছিলাম। সামাজে বহু হিন্দু তরুণী রয়েছেন যারা কিছু করে দেখাতে চাইছেন।

পাক হায়দরাবাদে বিচারক হিসেবে কর্মরত সুমন পবন বোদানি। তিনি সিন্ধ প্রদেশের প্রথম হিন্দু বিচারক। বর্তমানে রয়েছেন শিয়ালকোটে। সিন্ধ প্রদেশের জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ রমেশ কুমার বাকওয়ানি সংবাদমাধ্যমে বলেন, হিন্দু তরুণীরা শিক্ষায় ক্রমশ এগিয়ে আসছেন। তারা চাকরি করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন। সিন্ধে এখন হিন্দুদের মধ্যে ডাক্তার, সিভিল সার্ভেন্ট, পুলিস অফিসার তৈরি হয়েছে। তারা সম্মানের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।

পাকিস্তানের বেশিরভাগ হিন্দু থাকেন সিন্ধ প্রদেশে। সরাকারের হিসেব মতো সিন্ধে বাস করেন ৫৭ লাখ হিন্দু। পাশাপাশি গোটা পাকিস্তানে রয়েছেন ৯০ লাখ হিন্দু। রমেশ কুমার বাকওয়ানি বলেন, সমাজে হিন্দু মহিলারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন। তার পরেও তাদের অপহরণ করা, তাদের ধর্মান্তিরিত করার মতো ঘটনা ঘটছে। এর জন্য প্রশাসনে আরও বেশি করে হিন্দুদের যোগ দেওয়া প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *