পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানের মাটিতে প্রত্যাঘাত করতে ‘সিঁদুর’ অভিযান চালিয়েছিল বায়ুসেনা। সেই অভিযানে সাফল্য আসার পর বায়ুসেনাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে জোরকদমে প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। সামরিক অস্ত্র হোক বা সরঞ্জাম, এ ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হওয়ার প্রক্রিয়া অনেক আগেই শুরু করে দিয়েছে ভারত। সেই ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র আওতায় তৈরি যুদ্ধবিমান এ বার বায়ুসেনার হাতে তুলে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই বায়ুসেনার হাতে সেই বিমান তুলে দিতে পারে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)। নাসিকে হ্যাল-এর কারখানায় তৈরি হচ্ছে সেই যুদ্ধবিমান তেজস এমকে ওয়ান-এ। তেজসের এমকে ওয়ান-এর উন্নত সংস্করণ এই যুদ্ধবিমান। এটি বহু কার্যক্ষমতাসম্পন্ন (মাল্টিরোল) একটি যুদ্ধবিমান। সূত্রের খবর, মিগ ২১-এর মতো পুরনো যুদ্ধবিমানের জায়গায় এই বিমানকে কাজে লাগানো হতে পারে।
সূত্রের খবর, নাসিকে হ্যালের এই কারখানায় প্রতি বছর পাঁচটি তেজস এমকে ওয়ান-এ যুদ্ধবিমান তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। পরে সেই উৎপাদনক্ষমতা বাড়িয়ে আট করা হতে পারে। সূত্রের খবর, প্রথম তেজস এমকে ওয়ান-এ বিমান জুন মাসের শেষের দিকে বায়ুসেনার হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। তারই প্রস্তুতি চলছে।
এই যুদ্ধবিমান আকাশ থেকে আকাশ এবং আকাশ থেকে ভূমি দু’টি ক্ষেত্রেই হামলা চালাতে দক্ষ। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২২০০ কিলোমিটার (১.৮ ম্যাক) গতিতে উড়তে সক্ষম। ১৮৫০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে এই বিমান। এই বিমান ৭ হার্ডপয়েন্ট, ২৩ মিলিমিটার জিএসএইচ-২৩, অস্ত্র বিভিআর ক্ষেপণাস্ত্র, ব্রহ্মস-এনজি এবং গাইডেড বোমা বহনে সক্ষম। এ ছাড়াও রয়েছে ইজ়রায়েলি এইএসএ রেডার, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সুইট।