নয় এগারো থেকে ছাব্বিশ এগারো – প্রতিটি সন্ত্রাসবাদী হামলার নেপথ্যে পাকিস্তান। তাকে সমর্থন করার অর্থ জ*ঙ্গিবাদে মদত দেওয়া। তা কখনই ভারত বরদাস্ত করবে না। সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতেই হবে। সোমবার, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে ভারত-দক্ষিণ কোরিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ এক বৈঠকে এভাবেই পাকিস্তানের মুখোশ খুললেন সংসদীয় দলের প্রতিনিধি, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানালেন, ভারতের ঐক্য ভাঙতে সন্ত্রাসবাদের কাছে মাথা নত করার প্রশ্নই নেই। শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বই আজ জ*ঙ্গিদমনে হাতে হাত ধরে কাজ করুক, সেই আবেদনও জানালেন অভিষেক।
বিশ্বমঞ্চে ‘সন্ত্রাসী’ পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে উপমহাদেশে ঘুরছে সংসদীয় প্রতিনিধি দল। এর নেতৃত্বে রয়েছেন জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয় ঝা। জাপান ঘুরে রবিবার দক্ষিণ কোরিয়া পৌঁছেছেন তাঁরা। সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূলের প্রতিনিধি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সিওলে সেখানকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভারত-দক্ষিণ কোরিয়ার সুসম্পর্ক তুলে ধরতে রবীন্দ্রনাথের কবিতার কথা উল্লেখ করেছিলেন অভিষেক। আর সোমবার সিওলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করে পাকিস্তানকে কার্যত তুলোধোনা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বললেন, ”আমরা বিশ্বকে বলতে চাই, পাকিস্তানকে সমর্থন করার অর্থই হল সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া। ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলা শুধুমাত্র ভারতের জাতীয় সুরক্ষায় আঘাত নয়। এটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। আমরা আগেও বারবার বলেছি, পাকিস্তান নিজেদের মাটিতে সন্ত্রাসবাদীদের লালনপালন করে। যদি ইদানিংকালে ভারত ও পাকিস্তানের আর্থিক উন্নতির দিকে নজর রাখা যায়, তাহলে দেখা যাবে দু’দেশের মধ্যে আকাশপাতাল ফারাক। ভারতের উন্নতি থমকে দিতেই হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।”
পহেলগাঁওয়ের পালটা পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে কেন্দ্রের অপারেশন সিঁদুরের কথা উল্লেখ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের সমস্ত পদক্ষেপে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল হিসেবে পাশে রয়েছে তৃণমূল, সেকথা বিশ্বের দরবারেও স্পষ্ট করেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দক্ষিণ কোরিয়াকে পাশে চান, এই আবেদন জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার পর ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরও যাওয়ার কথা এই প্রতিনিধিদের।